স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে থাকবে আনাচে-কানাচে, তেমন একটা বাসগৃহের সাধ সবার থাকতে পারে। স্নিগ্ধতার বিষয়টা ঠিক কেমন হয় তা হয়তো খুব স্থিরভাবে নির্ধারন করা কঠিন। কারণ এটা মানুষের অনুভূতিকেন্দ্রীক বিষয়। তবুও সাধারণভাবে বলা যায় যে আপনার মনকে যথেষ্ট প্রশান্তি দিতে পারে তেমন যেকোন জিনিসই আপনার জন্য স্নিগ্ধতার পরিচায়ক। ঘরের মাঝে স্নিগ্ধকর পরিবেশ রাখতে অবশ্যই ঘরসজ্জায় কারিগরী করা চাই। ছোট্ট কিছু কৌশল মাথায় রেখে ঘর সাজাতে হবে। তাতেই স্নিগ্ধভাব ছড়িয়ে পড়বে সাধের অন্দরমহলে।
ভারী আসবাব, বড় বড় দোকান থেকে কিনে আনা শোপিসে বোঝাই একটা ঘর। তাতে আভিজাত্য হয়তো ঠিকরে বেরুচ্ছে, চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে সকলের, কিন্তু তা প্রশান্তি আনবে না মনে। মনের শান্তির ক্ষেত্রটাই এতো সহজ এবং নির্মল যে তাতে বিশাল আয়োজনের দরকার পড়ে না। খুব সামান্য আয়োজনেই স্নিগ্ধতার পরশ আনা সম্ভব যেকোন গৃহে।
আলো এমন একটি উপাদান যা যেকোনো পরিবেশের স্নিগ্ধভাব বা প্রশান্তি নির্দেশ করতে বড় ভূমিকা রাখে। আবাসস্থলের ক্ষেত্রেও তাই আলোর পরিমাণ কেমন থাকবে সেটা নির্ধারন করাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের প্রয়োজনে প্রচুর আলো দরকার হয় বটে, কিন্তু চোখ ও মনের শান্তির জন্য ঘরে পরিমিত আলো নিশ্চিত করুন। কাজের বাইরে অতিরিক্ত আলো রাখবেন না ঘরে। সব পর্দা খোলা না রেখে কয়েকটি বরং বন্ধ রাখুন।
ঘরে রাখা যায় নানা রকম ল্যাম্পশেড। বিভিন্ন নকশায় হরেক রঙের শেডযুক্ত এই বাতিগুলি সন্ধ্যা নামার পর ঘরে আলো-আঁধারের অপূর্ব আবহ তৈরি করে রাখে। যখনই কোন ঘরে উজ্জ্বল আলোর প্রয়োজন হবে না, তখন ল্যাম্পশেডের ব্যবহার করতে পারেন।
কখনো আবার মোমের আলোর শৌখিনতায় ঘরে আনতে পারেন ভিন্নরূপ। তাতে প্রশান্তিও মিলবে। বারান্দা বা করিডরে সারিবদ্ধ ভাবে জ্বালিয়ে রাখা যায় মোমবাতি। চাইলে রাখতে পারেন অন্য যেকোন সুবিধাজনক জায়গাতেই। কিছু মোম পাওয়া যায় সুগন্ধিযুক্ত। সেগুলির ব্যবহারও বাসার ভেতর স্নিগ্ধতার পরশ নিয়ে আসবে।
সুগন্ধির সঙ্গে স্নিগ্ধতার তো চিরন্তন সম্পর্ক। তাই স্নিগ্ধ পরিবেশ চাইলে ঘরে সুগন্ধির উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। বাজারজাত এয়ার ফ্রেশনারের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানেই আস্থা রাখুন বেশি। ঘরে সবসময় রাখা যায় কিছু তাজা ফুল। গুচ্ছ করে ফুলদানিতে সাজানো হোক বা বাটি-গামলায় পানি ভরে তাতে ছড়িয়ে দেয়া হোক প্রিয় কোনো ফুল, স্নিগ্ধতার জন্য এর চেয়ে কার্যকরী আর কিছু নেই। সুঘ্রাণে মন জুড়িয়ে যাবে, দেখে শান্তি পাবে চোখও।
এবার তবে স্নিগ্ধতা ছড়ানো ছিমছাম আপনার বাসগৃহে আপনাকেই স্বাগতম!
More:স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে থাকবে ঘরে
 |
| স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে থাকবে ঘরে |
ভারী আসবাব, বড় বড় দোকান থেকে কিনে আনা শোপিসে বোঝাই একটা ঘর। তাতে আভিজাত্য হয়তো ঠিকরে বেরুচ্ছে, চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে সকলের, কিন্তু তা প্রশান্তি আনবে না মনে। মনের শান্তির ক্ষেত্রটাই এতো সহজ এবং নির্মল যে তাতে বিশাল আয়োজনের দরকার পড়ে না। খুব সামান্য আয়োজনেই স্নিগ্ধতার পরশ আনা সম্ভব যেকোন গৃহে।
আলো এমন একটি উপাদান যা যেকোনো পরিবেশের স্নিগ্ধভাব বা প্রশান্তি নির্দেশ করতে বড় ভূমিকা রাখে। আবাসস্থলের ক্ষেত্রেও তাই আলোর পরিমাণ কেমন থাকবে সেটা নির্ধারন করাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের প্রয়োজনে প্রচুর আলো দরকার হয় বটে, কিন্তু চোখ ও মনের শান্তির জন্য ঘরে পরিমিত আলো নিশ্চিত করুন। কাজের বাইরে অতিরিক্ত আলো রাখবেন না ঘরে। সব পর্দা খোলা না রেখে কয়েকটি বরং বন্ধ রাখুন।
ঘরে রাখা যায় নানা রকম ল্যাম্পশেড। বিভিন্ন নকশায় হরেক রঙের শেডযুক্ত এই বাতিগুলি সন্ধ্যা নামার পর ঘরে আলো-আঁধারের অপূর্ব আবহ তৈরি করে রাখে। যখনই কোন ঘরে উজ্জ্বল আলোর প্রয়োজন হবে না, তখন ল্যাম্পশেডের ব্যবহার করতে পারেন।
কখনো আবার মোমের আলোর শৌখিনতায় ঘরে আনতে পারেন ভিন্নরূপ। তাতে প্রশান্তিও মিলবে। বারান্দা বা করিডরে সারিবদ্ধ ভাবে জ্বালিয়ে রাখা যায় মোমবাতি। চাইলে রাখতে পারেন অন্য যেকোন সুবিধাজনক জায়গাতেই। কিছু মোম পাওয়া যায় সুগন্ধিযুক্ত। সেগুলির ব্যবহারও বাসার ভেতর স্নিগ্ধতার পরশ নিয়ে আসবে।
সুগন্ধির সঙ্গে স্নিগ্ধতার তো চিরন্তন সম্পর্ক। তাই স্নিগ্ধ পরিবেশ চাইলে ঘরে সুগন্ধির উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। বাজারজাত এয়ার ফ্রেশনারের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানেই আস্থা রাখুন বেশি। ঘরে সবসময় রাখা যায় কিছু তাজা ফুল। গুচ্ছ করে ফুলদানিতে সাজানো হোক বা বাটি-গামলায় পানি ভরে তাতে ছড়িয়ে দেয়া হোক প্রিয় কোনো ফুল, স্নিগ্ধতার জন্য এর চেয়ে কার্যকরী আর কিছু নেই। সুঘ্রাণে মন জুড়িয়ে যাবে, দেখে শান্তি পাবে চোখও।
এবার তবে স্নিগ্ধতা ছড়ানো ছিমছাম আপনার বাসগৃহে আপনাকেই স্বাগতম!
More:স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে থাকবে ঘরে
0 comments:
Post a Comment