Beauty Tips

ঝকঝকে দাঁত দেবে কলার খোসা

দাঁতের হলদেটে দাগ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন? বিভিন্ন পার্টিতে গিয়ে মন খুলে হাসতে পারছেন না? সকাল-রাতে ভালো পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে যাচ্ছেন, কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না? তাহলে কলা খাওয়ার পর খোসাটি ফেলে না দিয়ে সেটা দিয়ে একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার ব্যবহৃত নামী ব্রান্ডের দাঁতের মাজন বা পেস্টকে হার মানাতেও পারে।

 ভাবছেন এও কি সম্ভব? অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি- যা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদানগুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। 
ঝকঝকে দাঁত দেবে কলার খোসা image

যেভাবে ব্যবহার করবেন কলার খোসা:  

– প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিকভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরি। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যেগুলো এখনও নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।

 – কলা উল্টো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উল্টো করে ছিলে নিলে এই আঁশগুলো থাকবে খোসার সাথেই।

 – খোসা থেকে আপনার সুবিধা মতন আকারে দু'টো টুকরো কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।

 – এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন।

 – দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন। 

এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন, পরিবর্তন নিজেই বুঝবেন। তবে একদিনেই আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না, কারণ এটা তো আর ডিসটেম্পার নয় যে রঙ করে দিলেন। ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন।

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.